এমনকি শাস্তি দেয়ার জন্যেও কোন প্রাণী – হোক সেটা মানুষ বা একটা পিঁপড়া, আগুনে পোড়ানো ইসলামে নিষিদ্ধ। কারন আগুনে জ্বালিয়ে শাস্তি দেয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর। কোন মানুষ সেই অধিকারে ভাগ বসাবার ক্ষমতা রাখেনা। (বুখারী, আবু দাউদ)
তাই ইসলামে এমন কোন শাস্তির বিধান নেই যেখানে অপরাধীকে তার কৃতকর্মের জন্য দুনিয়াতে আগুনে পুড়তে হবে। কেউ শির্ক করুক, মুর্তাদ হয়ে যাক, ব্যাভিচার করুক বা মানব হত্যা করুক – কোন অপরাধের শাস্তিই আগুনে পোড়া নয়।
যেখানে তবে শাস্তির কোন প্রসঙ্গই নেই, স্রেফ গণতন্ত্রের নামে, গণতন্ত্রের ‘সম্মানার্থে’ যারা যানবাহনে আগুন দিয়ে, পেট্রোল বোমা মেরে নিরাপরাধ মানুষগুলোকে হত্যা করছে – তারা কি ভাবছে আল্লাহ তাদের ছেড়ে দিবে?
আর হাক্কুল ইবাদের ব্যাপারটা? এটাও আল্লাহ ছেড়ে দিবে?
বোকার দল কোথাকার।
সরকাররের বিরুদ্ধে রোষ থাকলে কোন প্রধান রাজনৈতিক দল সাধারন মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়, এমন নজির পৃথিবীর আর কোন ‘গণতান্ত্রিক’ দেশে আমি অন্তত দেখিনি। হ্যাঁ, বিদ্রোহী দলগুলোর মধ্যে দেখেছি, কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে নয়।
ধ্বংসযজ্ঞের এই সংস্কৃতি দেশের প্রধান দুটো রাজনৈতিক দলেরই। বিম্পি ক্ষমতায় থাকলে আম্লীগ, আম্লীগ ক্ষমতায় থাকলে বিম্পি। কী সুন্দর। দু’দলের মধ্যে গোপন কোন চুক্তি যেন। আয় আমরা দুজনে মিলে দেশটাকে জামের ভর্তা মনে করে ঝাকাই।
সমস্যাটা আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর নয়। সমস্যাটা হচ্ছে বিশ্বাস আর মতাদর্শ। দেশের সব সম্পদের মালিকই তো জনগন। জনগণই যদি জনগনের সম্পদ নষ্ট করে, তবে ক্ষতি কী?
গণতন্ত্র আমাদেরকে এমনই ভাবতে শেখায়।
সব সম্পদের মালিক জনগন নয় বরং আল্লাহ – এই বিশ্বাসটা মনে গেঁথে থাকলে কলেমা পড়া কোন মানুষ এই কাজ করতে পারেনা।
হাশরের মাঠে আল্লাহ আপনাকে কখনোই জিজ্ঞেস করবেনা আপনি দুনিয়াতে গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করেছিলে কিনা।
কিন্তু মানুষের প্রতি আপনার হকগুলো নিয়ে পাকড়াও করা হবে।
বাসের হেল্পারটা যদি সেদিন বলে ওঠে,
‘আল্লাহ, অভুক্ত বউ আর বাচ্চার দিকে তাকিয়ে কিছু রুটিরুজির আশায় বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে মেরে ফেলে ওরা। আপনি এর বিচার করুন।’
বিশ্বাস করুন, আব্রাহাম লিঙ্কন আপনাদের পাশে আসবেনা সেদিন।
আমার খুব ভয়ঙ্কর একটা ইচ্ছে জাগে, আপনাদেরকেও সেদিন জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে দেখার, আপনাদের তড়পানি দেখার।
তাই ইসলামে এমন কোন শাস্তির বিধান নেই যেখানে অপরাধীকে তার কৃতকর্মের জন্য দুনিয়াতে আগুনে পুড়তে হবে। কেউ শির্ক করুক, মুর্তাদ হয়ে যাক, ব্যাভিচার করুক বা মানব হত্যা করুক – কোন অপরাধের শাস্তিই আগুনে পোড়া নয়।
যেখানে তবে শাস্তির কোন প্রসঙ্গই নেই, স্রেফ গণতন্ত্রের নামে, গণতন্ত্রের ‘সম্মানার্থে’ যারা যানবাহনে আগুন দিয়ে, পেট্রোল বোমা মেরে নিরাপরাধ মানুষগুলোকে হত্যা করছে – তারা কি ভাবছে আল্লাহ তাদের ছেড়ে দিবে?
আর হাক্কুল ইবাদের ব্যাপারটা? এটাও আল্লাহ ছেড়ে দিবে?
বোকার দল কোথাকার।
সরকাররের বিরুদ্ধে রোষ থাকলে কোন প্রধান রাজনৈতিক দল সাধারন মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়, এমন নজির পৃথিবীর আর কোন ‘গণতান্ত্রিক’ দেশে আমি অন্তত দেখিনি। হ্যাঁ, বিদ্রোহী দলগুলোর মধ্যে দেখেছি, কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে নয়।
ধ্বংসযজ্ঞের এই সংস্কৃতি দেশের প্রধান দুটো রাজনৈতিক দলেরই। বিম্পি ক্ষমতায় থাকলে আম্লীগ, আম্লীগ ক্ষমতায় থাকলে বিম্পি। কী সুন্দর। দু’দলের মধ্যে গোপন কোন চুক্তি যেন। আয় আমরা দুজনে মিলে দেশটাকে জামের ভর্তা মনে করে ঝাকাই।
সমস্যাটা আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর নয়। সমস্যাটা হচ্ছে বিশ্বাস আর মতাদর্শ। দেশের সব সম্পদের মালিকই তো জনগন। জনগণই যদি জনগনের সম্পদ নষ্ট করে, তবে ক্ষতি কী?
গণতন্ত্র আমাদেরকে এমনই ভাবতে শেখায়।
সব সম্পদের মালিক জনগন নয় বরং আল্লাহ – এই বিশ্বাসটা মনে গেঁথে থাকলে কলেমা পড়া কোন মানুষ এই কাজ করতে পারেনা।
হাশরের মাঠে আল্লাহ আপনাকে কখনোই জিজ্ঞেস করবেনা আপনি দুনিয়াতে গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করেছিলে কিনা।
কিন্তু মানুষের প্রতি আপনার হকগুলো নিয়ে পাকড়াও করা হবে।
বাসের হেল্পারটা যদি সেদিন বলে ওঠে,
‘আল্লাহ, অভুক্ত বউ আর বাচ্চার দিকে তাকিয়ে কিছু রুটিরুজির আশায় বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে মেরে ফেলে ওরা। আপনি এর বিচার করুন।’
বিশ্বাস করুন, আব্রাহাম লিঙ্কন আপনাদের পাশে আসবেনা সেদিন।
আমার খুব ভয়ঙ্কর একটা ইচ্ছে জাগে, আপনাদেরকেও সেদিন জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে দেখার, আপনাদের তড়পানি দেখার।
No comments:
Post a Comment