আচ্ছা, আপনি নিজে কোন হারাম রিলেশনশিপে নেই তো? তাই? আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু আপনি করলেন কী, আপনার এক ছেলে বন্ধুর সাথে আপনার অন্য কোন মেয়ে বন্ধুর সম্পর্ক করে দিলেন, অথবা ভাইস-ভার্সা। সোজা কথায়, আপনি একটা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দিলেন, একটা হারাম কাজে সহায়তা করলেন, আল্লাহ যেখানে কুরআনে আপনাকে আদেশ করেছেন সীমালঙ্ঘন হয় এমন কাজে সহায়তা না করতে।
“...পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা...”
[সূরা আল মাইয়েদা, ৫:২]
আপনি জানেন কিনা জানিনা, ওই দুজন এরপর থেকে একটা হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি যেই গুনাহ গুলো কামাচ্ছে না, তার একটা ভাগ কিন্তু আপনার আমলনামায় এসেও যোগ হচ্ছে।
আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কাউকে সৎ পথের দিকে আহ্বান করবে তবে তার অনুসরণকারী সকলের নেকীর সমান নেকী তারও হবে। এতে তাদের নেকীর মধ্যে কোনরূপ ঘাটতি হবে না। যে ব্যক্তি কাউকে পথভ্রষ্টতার দিকে অর্থাৎ কোন খারাপ কাজের দিকে আহ্বান করবে তবে যারা তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের গুনাহের সমান গুনাহ্ তারও হবে। এতে তাদের গুনাহ্ থেকে কিছু হ্রাস পাবে না’।
[আত তিরমিজি, অধ্যায় ৪১, হাদীস নং. ২৬৭৪ (হাদীসের মানঃ হাসান)]
হাশরের ময়দানে নিজের আমলনামায় এত এত গুনাহ দেখবেন যে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে - আসলেই কি এটা আমার আমলনামা? এই ব্যভিচারের গুনাহটা কি আমার? কিন্তু আমি তো কোন প্রেম-ট্রেম করিনি দুনিয়ায়? তাহলে?
ওই 'তাহলের' উত্তরটাই আপনাকে দিয়ে দিলাম দুনিয়ায় থাকতে।
অতীতে যা করে ফেলেছেন তার জন্য তওবা করুন। শির্কের গুনাহ ছাড়া আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে - এই বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চান।
No comments:
Post a Comment