কোন মুসলিম অন্য মুসলিমকে আম ভাবে বোকা বানাতে পারেনা।
অনেক মানুষকেই বলতে শুনি, “যে মিথ্যা কথা কারও লাভ বা ক্ষতি করেনা সেই মিথ্যা হল নির্দোষ মিথ্যে”।
কথাটা ভুল। শুধু তিনটা ক্ষেত্র আর সময়েই মিথ্যা বলা ইসলামে বৈধ। অনেক মানুষকেই বলতে শুনি, “যে মিথ্যা কথা কারও লাভ বা ক্ষতি করেনা সেই মিথ্যা হল নির্দোষ মিথ্যে”।
হযরত উম্মে কুলসুম বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে পরস্পর বিরোধী দু’ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন করে দেয়, সে মিথ্যাবাদী নয়”। (বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ উম্মে কুলসুম আরো বলেনঃ আমি নাবীকে মাত্র তিনটি ক্ষেত্রে ‘মিথ্যা’ বলার অনুমতি দিতে শুনেছি। (১) দুই বিবাদমান দলের মধ্যে ‘মিথ্যা’ বলার মাধ্যমে মৈত্রী স্থাপন করে দেয়া, (২) যুদ্ধের ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া (তথ্য গোপন করা) (৩) স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা-বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া।
[রিয়াযুস স্বালিহীন :: বই ১ :: হাদিস ২৪৯]
এই তিন ক্ষেত্র ছাড়া অন্য সময়ে বলা সমস্ত মিথ্যাগুলো একই জাতের মিথ্যা। নির্দোষ বা দোষী নাম দিয়ে মিথ্যাগুলো আলাদা করা হয়নি। আপনি এমনকি মানুষকে হাসানোর জন্যও মিথ্যা বলতে পারবেন না।
এই প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
''যে ব্যক্তি মানুষ হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস! তার জন্য ধ্বংস! তার জন্য ধ্বংস!''
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস- ৪/৫৫৭; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস- ৪/২৯৭)
কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দেয়ার সময় হাসানোর জন্য কত জাতের মিথ্যা কথা যে আমরা বলি, সেটা বোধয় আমরা নিজেরাও হিসাব করতে পারবোনা।
না জানা এসব ভুলের জন্য আল্লাহ্ আমাদের পাকড়াও করোনা। আমীন
No comments:
Post a Comment