অকল্যাণ ধুয়ে-মুছে যাবতীয় কল্যাণের খাজানা নিয়ে আসবে বৈশাখ - এই আশায় কিন্তু প্রতিটা বছর গান গাওয়া হচ্ছে বটমূলে। এমনটাও কিন্তু নয় যে কল্যাণ কামনা করে বৈশাখকে বরণ করে নিলে সে বছর কালবৈশাখী ঝড় আসেনা, ঝড়ে গাছ-পালা ভেঙ্গে পড়েনা, খড়-ছনের কাঁচা বাড়ী উড়ে যায়না, নৌকা-লঞ্চ ডুবি হয়না, ভূমিকম্প বা ভবন ধস হয়না আর এতে মানুষও মারা যায়না। তাহলে কোন কল্যাণটা চেয়ে প্রতিবছর বৈশাখ পূজা করছেন?
আর সে ভারী এক বিচিত্র ব্যাপার, এত রংঢং করার পরেও ফি বছরই কল্যাণের চেয়ে দেশে অকল্যাণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। দুধ-কলা দিয়ে এই বৈশাখকে বরণ করে নেয়ার যে কী মানেটা আর অবশিষ্ট আছে বাপু সেটা আমার মাথায় আর ধরেনা।
কুরআনুল কারীমে মোট আট জন ফেরেশতার নাম পাওয়া যায় যাদের ওপর বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব অর্পন করা আছে। ২:৯৮-এ মিকাইল ফেরেশতার নাম উল্লেখ করা আছে এবং তাঁর দায়িত্ব মেঘ, বৃষ্টি আর ঝড়-তুফান নিয়ে। সবকিছু বাদ দিয়ে আজ থেকে শুধু মিকাইল (আঃ) এর পূজা করলেও তিনি আপনার মন মত কম-বেশি বৃষ্টি নিক্ষেপ করার ব্যবস্থা করবেন না বা উত্তরের ঝড় দক্ষিণে সরিয়ে দিবেন না। সারাটা জীবন ধরে মালাকুল মাউতের পূজা করলেও আপনি কোন অবকাশ পাবেন না নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কয়টা দিন বেঁচে থাকার। কিংবা কাল কিয়ামতকে পরশুদিনে সংঘটিত করার জন্যে চৌদ্দ পুরুষ ধরে ইসরাফিল (আঃ) এর পূজা করলেও কিয়ামত কালকেই হবে। কারন সব কিছু আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালার হাতে; তাদের হাতে নয়।
আর আপনি কিনা কুকুর-শূয়র-হোবাল-মানাতের ছবি নিয়ে মঙ্গল শোভা যাত্রা বের করে বৈশাখকে বরণ করে নিচ্ছেন এই ভেবে যে নতুন বছর নিয়ে আসবে সৌভাগ্য, ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিবে গেল বছরের আনা সব দুর্ভাগ্য।
বেআক্কেল মানুষের দল কোথাকার।
আপনার এমন বিশ্বাস একটা শির্কি বিশ্বাস। সৌভাগ্য আ্যন্ড দুর্ভাগ্য হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ আ্য ফিগার। একমাত্র আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালাই এটা ডিল করেন। এবং এর জন্য তিনি কোন কিছুর উপর নির্ভরশীল নন; সাল-সংখ্যা, পশু-পাখির মুর্তি বা ছবি, কোন কিছুর উপরেই নন।
স্কলারদের মতে, মানুষের আমাল আর দুয়া - এই দুটো জিনিষের সাথেই ভাগ্যের সম্পর্ক আছে। অন্য কিছুর নয়। কদর কখনই পরিবর্তন হওয়ার নয়। আপনার আমাল আর দুয়ার কারনে যদি সৌভাগ্য এসে থাকে বা দুর্ভাগ্য চলে যায় তবে এই ব্যাপারটাও কদরে লেখা আছে। আপনি দুয়া করবেন, আমাল করবেন সেটা আপনার সৃষ্টির আগেই আল্লাহ্ জানতেন। সেই দুয়ায় আপনার চাহাতগুলো কল্যাণকর হলে আল্লাহ্ সেগুলো অনেক আগেই আপনার জন্য বরাদ্দ করে রেখেছেন। ব্যাপারগুলো আরও পরিষ্কার ভাবে বুঝতে চাইলে 'ফতওয়া আরকানুল ইসলাম' বইটা আমি রিকমেন্ড করব।
তাওহীদ-শির্ক নিয়ে মুসলিমদের, বিশেষ করে এই দেশের মুসলিমদের জ্ঞানে অনেক ঘাটতি আছে যেটা আমি গত দুদিন লক্ষ্য করেছি। শির্ক বলতে অনেকেই শুধু মনে করেন সংখ্যাগত দিক থেকে আল্লাহকে একাধিক মনে করা। আর কেনই বা এটা মনে করবেনা বলুন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর মানে বাঙালি মুসলিমরা আজ এটাই জানে যে আল্লাহ ছাড়া কোন ‘সৃষ্টিকর্তা’ নেই। ফলে পহেলা বৈশাখ শির্ক – এই অ্যাটেম্পটে দাওয়াত দিয়ে অনেক ভাইকে দেখেছি গত দুইদিনে হাঁপিয়ে উঠতে।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ–এর মানেটা যে কী তা আবু জাহাল-লাহাবেরা বুঝতে পেরেছিল বলেই তারা মুসলিম হতে রাজী হয়নি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ–এর মানেটা যে কী তা আমরা বাঙালিরা জানিনা বলেই কলেমা পড়ে মুসলিম হতে রাজী হয়ে গিয়েছি। বাঙালি যদি জানত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর এক মানে আমাকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করাও ছাড়তে হবে, তাহলে ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশ এই বাংলাদেশ কথাটা আপাতত আমাকে শুনতে হতনা।
আর সে ভারী এক বিচিত্র ব্যাপার, এত রংঢং করার পরেও ফি বছরই কল্যাণের চেয়ে দেশে অকল্যাণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। দুধ-কলা দিয়ে এই বৈশাখকে বরণ করে নেয়ার যে কী মানেটা আর অবশিষ্ট আছে বাপু সেটা আমার মাথায় আর ধরেনা।
কুরআনুল কারীমে মোট আট জন ফেরেশতার নাম পাওয়া যায় যাদের ওপর বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব অর্পন করা আছে। ২:৯৮-এ মিকাইল ফেরেশতার নাম উল্লেখ করা আছে এবং তাঁর দায়িত্ব মেঘ, বৃষ্টি আর ঝড়-তুফান নিয়ে। সবকিছু বাদ দিয়ে আজ থেকে শুধু মিকাইল (আঃ) এর পূজা করলেও তিনি আপনার মন মত কম-বেশি বৃষ্টি নিক্ষেপ করার ব্যবস্থা করবেন না বা উত্তরের ঝড় দক্ষিণে সরিয়ে দিবেন না। সারাটা জীবন ধরে মালাকুল মাউতের পূজা করলেও আপনি কোন অবকাশ পাবেন না নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কয়টা দিন বেঁচে থাকার। কিংবা কাল কিয়ামতকে পরশুদিনে সংঘটিত করার জন্যে চৌদ্দ পুরুষ ধরে ইসরাফিল (আঃ) এর পূজা করলেও কিয়ামত কালকেই হবে। কারন সব কিছু আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালার হাতে; তাদের হাতে নয়।
আর আপনি কিনা কুকুর-শূয়র-হোবাল-মানাতের ছবি নিয়ে মঙ্গল শোভা যাত্রা বের করে বৈশাখকে বরণ করে নিচ্ছেন এই ভেবে যে নতুন বছর নিয়ে আসবে সৌভাগ্য, ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিবে গেল বছরের আনা সব দুর্ভাগ্য।
বেআক্কেল মানুষের দল কোথাকার।
আপনার এমন বিশ্বাস একটা শির্কি বিশ্বাস। সৌভাগ্য আ্যন্ড দুর্ভাগ্য হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ আ্য ফিগার। একমাত্র আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালাই এটা ডিল করেন। এবং এর জন্য তিনি কোন কিছুর উপর নির্ভরশীল নন; সাল-সংখ্যা, পশু-পাখির মুর্তি বা ছবি, কোন কিছুর উপরেই নন।
স্কলারদের মতে, মানুষের আমাল আর দুয়া - এই দুটো জিনিষের সাথেই ভাগ্যের সম্পর্ক আছে। অন্য কিছুর নয়। কদর কখনই পরিবর্তন হওয়ার নয়। আপনার আমাল আর দুয়ার কারনে যদি সৌভাগ্য এসে থাকে বা দুর্ভাগ্য চলে যায় তবে এই ব্যাপারটাও কদরে লেখা আছে। আপনি দুয়া করবেন, আমাল করবেন সেটা আপনার সৃষ্টির আগেই আল্লাহ্ জানতেন। সেই দুয়ায় আপনার চাহাতগুলো কল্যাণকর হলে আল্লাহ্ সেগুলো অনেক আগেই আপনার জন্য বরাদ্দ করে রেখেছেন। ব্যাপারগুলো আরও পরিষ্কার ভাবে বুঝতে চাইলে 'ফতওয়া আরকানুল ইসলাম' বইটা আমি রিকমেন্ড করব।
তাওহীদ-শির্ক নিয়ে মুসলিমদের, বিশেষ করে এই দেশের মুসলিমদের জ্ঞানে অনেক ঘাটতি আছে যেটা আমি গত দুদিন লক্ষ্য করেছি। শির্ক বলতে অনেকেই শুধু মনে করেন সংখ্যাগত দিক থেকে আল্লাহকে একাধিক মনে করা। আর কেনই বা এটা মনে করবেনা বলুন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর মানে বাঙালি মুসলিমরা আজ এটাই জানে যে আল্লাহ ছাড়া কোন ‘সৃষ্টিকর্তা’ নেই। ফলে পহেলা বৈশাখ শির্ক – এই অ্যাটেম্পটে দাওয়াত দিয়ে অনেক ভাইকে দেখেছি গত দুইদিনে হাঁপিয়ে উঠতে।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ–এর মানেটা যে কী তা আবু জাহাল-লাহাবেরা বুঝতে পেরেছিল বলেই তারা মুসলিম হতে রাজী হয়নি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ–এর মানেটা যে কী তা আমরা বাঙালিরা জানিনা বলেই কলেমা পড়ে মুসলিম হতে রাজী হয়ে গিয়েছি। বাঙালি যদি জানত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর এক মানে আমাকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করাও ছাড়তে হবে, তাহলে ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশ এই বাংলাদেশ কথাটা আপাতত আমাকে শুনতে হতনা।
No comments:
Post a Comment