আজ ঘরে যথেষ্ট খাবার ছিলনা কিংবা খাবার ছিল তবে যথেষ্ট সুস্বাদু হয়নি; মুরগির কারিতে মশলা কম বা ডালে বেশি লবণ হয়ে গিয়েছে – খুব একটা মিথ্যে কথা বলা হয়ে যাবে যদি বলি এমন আক্ষেপ আমি জীবনেও করিনি।
রিয়াযুস স্বলিহীন বইটার ৫৬ নাম্বার পরিচ্ছেদ মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপবাস, অল্প পানাহার আর নীরস জীবনযাপন নিয়ে। এই ৫৬ নাম্বার পরিচ্ছেদটা একবার ভাল করে, অনুভব করে কেউ পড়ার পর তার লজ্জা থাকলে আর জীবনে কখনো খাবারে অপ্রতুলটা, স্বাদহীনতা বা পোশাকের অভাব নিয়ে টু শব্দটাও করবেনা।
ওই পরিচ্ছেদ থেকে রাসূলের খাবার সংক্রান্ত ছোট্ট একটা হাদিস উল্লেখ করিঃ উমার ইবনে খাত্ত্বাব রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি, তিনি সারাদিন ক্ষুধায় থাকার ফলে পেটের ওপর ঝুঁকে থাকতেন যেন ক্ষুধার জ্বালা কম অনুভব হয়। তিনি পেট ভরার জন্য নিকৃষ্ট মানের খুরমাও পেতেন না।’
(মুসলিম ২৯৭৭, ২৯৭৮, তিরমিযী ২৩৭২, ইবনু মাজাহ ৪১৪৬, আহামদ ১৬০, ১৭৮৯২)
সুবহানআল্লাহ! দুনিয়ার সম্পদ অর্জনের পেছনে ছুটে চলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পছন্দ ছিলনা। আর তাতেই কিনা উম্মত কোমর বেঁধে আদা-জল খেয়ে পার্থিব সম্পদ অর্জনের পেছনে জীবনের পুরো অংশটাই ব্যয় করে দিচ্ছে। ভাবি আমি, রাসূল যদি এমন অনাড়ম্বর লাইফস্টাইল বেছে না দিয়ে সম্পদের পিছনে ছুটতেন, উম্মত তবে কী করত?
এই উম্মত তো পাগল হয়ে যেত।
No comments:
Post a Comment