Tuesday, January 20, 2015

অশ্লীল বিনোদন স্বাভাবিক যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দেয়


যুক্তরাষ্ট্রের খুব সম্মানজনক গবেষণা জার্নাল, সাইকোলজি টুডে তে একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়টি এখন এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র ২০ বছরের তরতাজা যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক যৌনাচরণকরতে পারছে না। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যারা পর্নো দেখে তাদের যৌন উত্তেজনা তৈরিতে মস্তিষ্কে চরম পর্যায়ের উত্তেজনার (ডাক্তারি ভাষায় এটাকে বলে ডোপামাইন স্পাইক) প্রয়োজন হয়। আর একবার এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে
গেলে, তখনসাধারণ নারীতে আর সেই উত্তেজনা আসে না এবং মস্তিষ্ক ঠিকমত কাজ করে না। ফলে তারা নপুংশক হয়ে যায়।

ইন্টারনেটে অশ্লীল বিনোদনের সহজলভ্যতার কারণে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ডোপামাইন স্পাইক সীমাহীন পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তখন আর সাধারণ নারীর সাধারণ যৌন আবেদন তাদের আকৃষ্ট করে না। পুরুষেরা মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি অশ্লীল বিনোদনের প্রতি আকৃষ্ট বিধায় পুরুষদের নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা করা হচ্ছে।

এই ডোপামাইন স্পাইকের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। দেখা যায় যে অশ্লীল বিনোদন যারা প্রথম প্রথম উপভোগ করে তারা একজন নারী ও একজন নরের দৈহিক সম্পর্কের দৃশ্য ছাড়া আর কিছু সহ্য করতে পারে না। কিন্তু পরবর্তীতে এই দৃশ্য তাদের কাছে অত্যন্ত সাধারণ বলে মনে হয় এবং এসব দৃশ্যে উত্তেজনা আসে না। তারা ধীরে ধীরে পর্নোগ্রাফির অন্যান্য ক্যাটাগরি যেমন গ্রুপ সেক্স, গ্যাং ব্যাং, ডাবল পিনাট্রেশন, এমনকি পশুপাখি কিংবা জড় পদার্থের সাথে যৌনক্রিয়ার দৃশ্যে তারা আসক্ত হয়ে পড়ে। এসব ক্যাটাগরি একটার চেয়ে অন্যটা অধিক ডোপামাইন স্পাইকের সৃষ্টি করে যার ফলে মানুষ তার সুস্থ স্বাভাবিক যৌনক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং মনে ভেতর বিকৃত রুচির জন্ম দেয়।


No comments:

Post a Comment