আপনার কাছে কিছু টাকা আছে। এই ধরুন...অঙ্কটা দশ হাজারের মত?
দশ হাজার টাকার মধ্যে দুই হাজার টাকা হারিয়ে গেল, চুরি হয়ে গেল বা ছিনতাই হয়ে গেল। সোজা কথায় – নাই হয়ে গেল।
আপনি বাকী টাকা নিয়ে কী করবেন?
‘আমার এতগুলো টাকা হারিয়ে গেল, আমি বাকী টাকাটা রেখে কী করব? এগুলোকেও আমি হারিয়ে ফেলি, চোর বা ছিনতাইকারীকে দিয়ে দেই’ – এই কি ভাববেন?
না। কখনোই না।
যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গিয়েছে। আপনার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে বাকী টাকাকে পুঁজি করে কীভাবে এর সদ্ব্যবহার করা যায়, Maximum Utiliy অর্জন করা যায়, বাকী টাকাও যেন হারিয়ে না যায়।
এতখানি পর্যন্ত তো আপনার দ্বিমত নেই?
তাহলে এখন বলুন তো, আপনাকে যখন কেউ বলে যে ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করা গুনাহের কাছ, হারাম রিলেশানশীপে যাওয়া গুনাহের কাজ, গীবত করা গুনাহের কাজ, কোন বিজাতীয় দিবস পালন করা গুনাহের কাজ, সুদী ব্যাংকে কাজ করা গুনাহের কাজ – আপনি তখন কেন বলেন, ‘সারাদিন এত বড়বড় গুনাহ করি কোন খবর নাই, এই একটা দুটো করলে কী হয়ে যাবে আর?’
“সারাদিন এত বড়বড় গুনাহ” করার কারনে যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গিয়েছে, যা হারানোর তা হারিয়েই ফেলেছেন। কিন্তু বাকী যা পুঁজি করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল, সেটাও কি আপনি নষ্ট করে ফেলতে চাইছেন? বাকী যা গুনাহ থেকে বাঁচার সুযোগ ছিল, সেই গুনাহ গুলোও কি আপনাকে এখন করে ফেলতে হবে?
বড়বড় গুনাহ করলেই যে ছোট ছোট গুনাহ করতে হবে, করা যায় – এই চিন্তা আপনার মাথায় ঢুকল কীভাবে?
এত বড়বড় গুনাহ করেছেন বলেই না বাকী গুনাহের কাজ করা আরও আগে থামিয়ে দেয়া ফার্য ছিল আপনার।
আপনার উত্তরটা এখানে একেবারে ‘লকড’ করে দেয়ার জন্যেই আমার কথার শুরুতে টাকার উদাহরণ অবতারনা করলাম। দুনিয়ার কিছু সম্পদ হারিয়ে গেলেও বাকী সম্পদকে পুঁজি করে আমরা সামনে এগিয়ে যাই, সেগুলোকেও না হারিয়ে ফেলার আপ্রান চেষ্টা করি।
আর আখিরাতের সম্পদের জন্য এই অবস্থা আমাদের?
No comments:
Post a Comment