সু. সেনগুপ্ত কিন্তু এখানেও দুনম্বরি করতে চেয়েছিলেন।
তিনি সূরা আস-সফের ১৩ নাম্বার আয়াতের অংশ বিশেষ কোট করে বললেন, “আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় অতি নিকটে।”
কিন্তু কী বিজয়, কাদের জন্য এই বিজয়, কী করলে এই বিজয় – বেমালুম চেপে গেছেন আয়াতের শুরু এবং শেষের
অংশ। “...এবং আরও একটি অনুগ্রহ দিবেন, যা তোমরা পছন্দ করঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়। মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন।”
[আস-সফঃ ৬১:১৩]
এখানে আল্লাহ মুমিনদেরকে উদ্দেশ্য করে কথা বলছেন, মুমিনদেরকে বিজয় দেবার কথা বলেছেন– ওয়া বাশশিরিল মু’মিনিনা বলে। যদু-মদু-রাম-শ্যাম-আম্লিগ-বিম্পির মত কারও কথা বলেননি।
সাহাবারা একদিন বললেন, “হে আল্লাহ্র রাসূল! কোন আমাল আল্লাহ্র কাছে সবচেয়ে প্রিয়?”
তাঁদের এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আল্লাহ এই সূরা নাযিল করেন।
সু.সেনগুপ্ত যদি ১০ আর ১১ নাম্বার আয়াতগুলোকে মেনে নিতেন, আল্লাহ্র সাথে বানিজ্যে চলে যেতেন, তবেই না ১২ আর ১৩ নাম্বার আয়াত তার জন্য হত, তবেই না বোঝা যেত বিজয়টা কী, কীভাবে আসবে, কেন আসবে।
“মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?
তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।
তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।”
[আস-সফঃ ৬১:১০-১২]
ফতওয়া দেয়া নয়, সু.সেনগুপ্ত যেটা করলেন সেটাই হচ্ছে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা।
No comments:
Post a Comment