হেল্পার বললেন, ‘জানালাগুলা লাগায়া দেন তাত্তাড়ি।’
প্যালেস্টাইনীয়ানদের কথা খুব মনে পড়ছিল তখন।
আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়া দেখে দেখে আমরা বড় হয়েছি। ওরা বড় হয়েছে আকাশ থেকে বোমা পড়া দেখে দেখে।
জুতো-জামায় কাদা লেগে যাওয়া ছাড়া অনেক বড় কোন ক্ষতি আমাদের হয়না। কিন্তু ওদের দেখতে হয় পাশে দাঁড়ানো খেলার সাথী, বাবা-মা কিংবা ভাই-বোনের হুট করে হয়ে যাওয়া ছিন্নভিন্ন দেহ। সর্বক্ষণ আতংকে থাকতে হয় – এই বুঝি পা দিয়ে দিলাম পুঁতে রাখা কোন বোমার ওপর আর আমিও ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলাম।
চিন্তা করে দেখুন তো একবার, স্ট্রেসের কতবড় বোঝা মাথায় নিয়ে দিনপাতি করতে হয় তাঁদের?
আমাদের কথা ভিন্ন। আক্ষরিক অর্থে সোনার চামচ মুখে নিয়ে হয়ত জন্মাইনা। কিন্তু যে আদর আর যত্নে বড় হই সেটার কাছে সোনার চামচের উদাহরণটা একদম একটা ‘কিছুইনা’। ভীরু আর দুর্বল হিসেবে বড় হয়ে উঠি। ফলে বাস ভাঙ্গার এক আতঙ্কের মধ্যে যাতায়াত করি, পেট্রোল বোমায় সামনাসামনি কারও মৃত্যু না দেখলেও অদেখা এক আতংকে সারাটা পথ তটস্থ থাকি। প্যালেস্টাইনীয়ানদের কাছে এগুলো হয়ত পটকা ফাটানোর মতই কিছু।
আমি অন্যদের কথা জানিনা। আমার কথাই বললাম।
No comments:
Post a Comment