আমাদের মসজিদের মুফতি সাহেব পাক্কা হানাফি এবং দেওবন্দি ঘারানার আলেম। হাটহাজারি মাদ্রাসা ফারেগ।
আট জুম’আ আগে বয়ানে সমাজে প্রচলিত দুটো বিদআতের কথা বলেছিলেন – জানাযার পর নতুন করে হাতে তুলে দুয়া করা আর চল্লিশা করা।
ব্যাস, এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিল মসজিদ কমিটির বড় কিছু মাথা। নামায শেষে কৈফয়েত চাওয়া, ধমকানো আর
আট জুম’আ আগে বয়ানে সমাজে প্রচলিত দুটো বিদআতের কথা বলেছিলেন – জানাযার পর নতুন করে হাতে তুলে দুয়া করা আর চল্লিশা করা।
ব্যাস, এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিল মসজিদ কমিটির বড় কিছু মাথা। নামায শেষে কৈফয়েত চাওয়া, ধমকানো আর
মারতে যাওয়া – কিছুই বাদ ছিলনা। আল্লাহ তাঁর অন্য কিছু বান্দার মাধ্যমে সেদিন ইমাম সাহেবকে রক্ষা করেন। আল্লাহ্ চাননি যে ইমাম সাহেবের রিজিক এখান থেকে উঠে যাবে। তাই ইমাম সাহেব এখনও ছাঁটাই হননি।
আজ বয়ানে দুরুদে তাজ, দুরুদে মাহি, দুরুদে লাখী, ইয়া নাবি সালাম আলাইকা ইত্যাদি অস্তিত্বহীন দুরুদ গুলোকে তিনি বর্জন করতে বলেছিলেন। শালীন ভাষায় ভদ্রভাবেই কথাগুলো বলেছিলেন তিনি। পাশাপাশি সূরা আহযাবের ৫৬ নাম্বারের আয়াতের তাফসীর করে সবাইকে এটাও বলেছিলেন যে আমাদের আসল দুরুদ হওয়া উচিত দুরুদে ইব্রাহিম। দুরুদের ফযিলত নিয়ে অনেক আলোচনা করেলেন আজ।
নাহ, তাঁর আজকের কথাগুলোও ভাল লাগেনি মসজিদে প্রতি সপ্তাহে নামায পড়তে যাওয়া অনেক বড় বড় ধর্মপ্রান মুসল্লির। সারাজীবন পড়ে আসা এই দুরুদ শেষমেশ কিনা বিদআত। এতো হতেই পারেনা।
নামায শেষে বের হওয়ার সময় গুঞ্জন শুনছিলাম। ভাবছি, আবার না একা ‘দুর্বল’ ইমাম সাহেবকে পেয়ে গায়ে জোশ চলে আসে ধর্মপ্রান মুসল্লিদের।
যেই ব্যাপারটার ওপর আলোকপাত করতে চাই সেটা হল, ইমাম হচ্ছেন নেতা। একজন নেতার ‘ভুল’ দেখে সাধারন মুসলিম গালাগালি করবে, মারতে যাবে, লাঞ্চিত করবে – এ আমি দুই মাস যাবত বিশ্বাস করতে পারছিনা। হ্যাঁ, তাঁর কথা কুরআন আর হাদিস বিরোধী হলে অবশ্যই সেটা নিয়ে একটা ডিসকাশন করার সুযোগ আছে আর সেটা হবে ফ্রেইন্ডলি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষগুলোই আবেদ – ইলম নেই, ইলম অর্জনের চেষ্টা নেই শুধু বাপ-দাদাদের দেখে আমল করা শিখেছে।
এটা আজ উম্মতে কী অবস্থা যে এসব আবেদগুলো ইমামের সাথে বাজে ব্যবহার করে! ছিছি।
No comments:
Post a Comment