Sweden (২), USA (৩), England and Wales (৪), New Zealand (৬), Canada (৭), Australia (৮), Denmark and Finland (১০)
ধম্ম-কম্মের টিকিটিও পাওয়া যায়না ইউরোপ-আমেরিকার এই দেশগুলোতে কিন্তু ব্যভিচার বৈধ। এই তথ্যটা দেয়ার জন্য দেশগুলোর নাম উল্লেখ করার কোন দরকার ছিলনা। আমি অন্য একটা তথ্য সবাইকে জানানোর জন্য এই দেশগুলোর নাম আমি শুরুতে দিয়েছি।
ধম্ম-কম্মের টিকিটিও পাওয়া যায়না ইউরোপ-আমেরিকার এই দেশগুলোতে কিন্তু ব্যভিচার বৈধ। এই তথ্যটা দেয়ার জন্য দেশগুলোর নাম উল্লেখ করার কোন দরকার ছিলনা। আমি অন্য একটা তথ্য সবাইকে জানানোর জন্য এই দেশগুলোর নাম আমি শুরুতে দিয়েছি।
নারীদের ওপর যত কিসিমের সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট হতে পারে – সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট, ইভটিযিং, রেইপ ইত্যাদি ইত্যাদি, সেগুলো সংঘটিত হওয়ার হারের ওপর ভিত্তি করে টপ টেইন কান্ট্রির একটা লিস্ট তৈরি করা আছে যেই লিস্টের দশটা দেশের মধ্যে এই আটটা দেশ আছে। ইন্ডিয়া আফ্রিকা তো আছে অবশ্যই, তাদের আর টেনে আনলাম না। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সব পরিসংখ্যান জানতে ক্লিক করুনঃ (http://goo.gl/WXb7OM)
এখন ৬৪ মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নটা হল, যে দেশগুলোতে ব্যভিচার বৈধ সেই দেশগুলোতে তবে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট আর রেইপের মত ঘটনাগুলো এত বেশি কেন?
একদম আসান উত্তরঃ বেশিরভাগ পুরুষের মধ্যে যেই জানোয়ার প্রবৃত্তি আছে, যে পশু প্রবৃত্তি আছে, সেটা বিবেক বা যুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা। নিয়ন্ত্রণ করা গেলে শুধু মিউচুয়াল সেক্সটাই হত – টিযিং নয়, রেইপ নয়।
পশু প্রবৃত্তির মাত্রাটা কেমন হতে পারে সেটা বোঝার জন্য টিএসসিতে ঘটে যাওয়া গতকালের ঘটনাটা একটু বিশ্লেষণ করি।
যদি ধরা হয় বস্ত্রহরণের ঘটনার পিছনে পুরুষগুলোর যৌনাকাঙ্ক্ষা দায়ী, তবে একবার ভেবে দেখুন পশু প্রবৃত্তির কোন পর্যায়ে যেতে পারলে টিএসসি ভর্তি হাজারো মানুষের সামনে একজন মানুষ স্বীয় যৌনাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে ফেলে। যৌনাকাঙ্ক্ষার মত ব্যাপারটা খুবই স্পর্শকাতর এবং গোপনীয় বিষয়; সবার সামনে প্রকাশ মত কিছু একেবারেই নয় তা। এমনটাও নয় যে টিএসসিতে তখন শুধু নারীই ছিল, কোন পুরুষ ছিলনা। পুরুষ ছিল, ছিল পুরুষ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মী। সবার সামনেই দুষ্কৃতকারীগুলো নারীদের বস্ত্রহরণের ঘটনা ঘটিয়ে বিকৃত সুখ লাভের একটা চেষ্টা নিয়েছে।
আর এমন পৈশাচিক মানুষগুলোকে আপনারা যুক্তি আর বিবেকের দোহাই দিতে চাইছেন?
খোলা গাত্র দেখে লোভাতুর হয় পাশবিক পুরুষ শারীরিক ভাবে দুর্বল নারীর ওপর চড়াও হয়ে নিজের বীরত্ব জাহির করতে চায়। আল্লাহ সুবহান তায়ালা জানেন পুরুষের মধ্যকার এই স্বভাব। তিনি জানতেন কিছু পুরুষ টিএসসিতে এমন কাজ করবে। তিনি জানতেন কিছু পুরুষ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করবে আর কিছু পুরুষ নিয়ন্ত্রণ করবেনা। তিনি জানতেন যুক্তি-বিবেকের দোহাই দিয়ে সবাইকেই একই লেভেলে আনা যাবেনা। আর তাই এই সামাজিক আর নৈতিক বিশৃঙ্খলা রোধে তিনি সব রাসূলের মাধ্যমেই একটা Floor নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যেটা মানতে হবে সবাইকেই – নর-নারী, নিয়ন্ত্রণ করতে পারা, নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা - সবাইকে।
Floor মানে কী?
ফিন্যান্সের সাথে পরিচিত সবাই Floor/Cap সম্পর্কে জানেন। ফ্লোর মানে - এর নিচে আর যাওয়া যাবেনা। ক্যাপ মানে - এর ওপরে আর ওঠা যাবেনা।
এবার উদাহরণটা একটু খেয়াল করুণ।
ক্লাসের দুইজন এক্সট্রা অর্ডিনারি স্টুডেন্ট আর দশজন একেবারে মার্জিনাল কোয়ালিটির স্টুডেন্ট আছে। বিচক্ষণ শিক্ষক যখন প্রশ্ন তৈরি করবেন তখন সেই দশজনের কথা মাথায় রেখেই প্রশ্ন তৈরি করবেন। এমন প্রশ্ন করবেন না যেটার উত্তর শুধু ওই দুজনই করতে পারবে। এমন একটা প্রশ্নপত্র তৈরি করবেন যেটার উত্তর ওই বারো জনই করতে পারবে।
এর ফলে, প্রশ্নটা হাতে নিয়ে সেই দুইজন এক্সট্রা অর্ডিনারি স্টুডেন্টকেও একই সহজ প্রশ্নের উত্তর করতে হবে যেগুলোর উত্তর বাকী দশজনই করছে। আমরা অনেক ভাল স্টুডেন্ট – এই দাবীতে কিন্তু তাদের জন্য আলাদা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবেনা। এক এবং অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হবে।
টিএসসি এবং এই জাতীয় ঘটনা থেকে বিশৃঙ্খলা এড়ানোর জন্য Floor হিসেবে আল্লাহ সব নর-নারীর জন্যই পর্দার বিধান দিয়েছিলেন। ফ্লোর হিসেবে অ্যাটলিস্ট পর্দা করতেই হবে, এর নিচে যাওয়া যাবেই না। এর উপরে যদি আরও স্ট্রিক্ট হওয়ার সুযোগ থেকে তবে স্ট্রিক্ট হব। কিন্তু ফ্লোর মেইন্টেইন করেতেই হবে।
আর নারীদের পর্দার এই ফ্লোরটা সবা পুরুষের জন্যই – নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যে পুরুষ তার জন্যেও, নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা যেই পুরুষ তার জন্যেও; এক এবং অভিন্ন প্রশ্নপত্র।
“রাস্তাঘাটে পর্দা মেন্টেইন না করে আরও অনেক নারীই তো চলা ফেরা করে। আমাদের বাবা-ভাই তো তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পরেনি?”
বস্ত্র হরণের শিকার বোনরা যদি আমার কথাগুলোর প্রেক্ষিতে এই প্রশ্নটা করেই থাকে তবে বলি, কুরানের মাধ্যমে বিধান নাযিল করার সময় ক্লাসের ওই দশজন দুর্বল স্টুডেন্টের কথা মাথায় রেখেই আল্লাহ বিধান নাযিল করেছেন। আপনার বাবা-ভাই ক্লাসের সেই দুইজন এক্সট্রা অর্ডিনারি স্টুডেন্ট, Congratulations। তাই বলে হুকুম ভিন্ন নয়।
ভেবে দেখুন, আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালা আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনি জানেন আমাদের জন্য কী ভাল আর কী মন্দ। ভালটা ম্যাক্সিমাইয করার জন্য আর মন্দটা মিনিমাইয করার জন্য ইসলাম নামক ব্যালেন্সড একটা সিস্টেম তৈরি করে দিয়েছেন। এই ব্যালেন্সড সিস্টেমের বাইরে যাই পড়বে তাই ইম্মব্যালেন্সড এরিয়াতে পড়বে, সমাজে বিশৃঙ্খলা শুরু হবে এবং যেটার একটা নজির মাত্র গতকালকে টিএসসিতে দেখতে পেয়েছেন।
স্বেচ্ছায় ব্যালেন্সড এরিয়া থেকে বের হয়ে গিয়ে কপালে দুর্ভোগ টেনে আনার পর ‘জানোয়ারের বাচ্চা’ বলে গালি দিয়ে নিজেই নিজের সাথেই উপহাস করলেন। আপনারা কী হন আমার? কিছুই না। একই আদম-হাওয়ার বংশ থেকে আমরা সবাই জন্মিয়েছি বলে বোন ডেকে, আপনাদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে পুরো সমস্যাটা আলোচনা করলাম। কালকের ঘটনায় আমি আপনাদের জন্য দুয়া করি। এমন কিছু যেন আর না শুনতে হয় কখনো সেটাই চাই মনে-প্রাণে।
No comments:
Post a Comment